ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁওতে ঈদ মৌসুমে বস্ত্র বিপনীতে গলা কাটা বাণিজ্য : ক্রেতারা হতাশ

এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :

ঈদকে সামনে রেখে জেলা সদরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁও বাজারে রকমারী নাম, বাহারী সাইনবোর্ড এবং ভেতরে নজর কাড়া লাইটিং ডেকোরেশান সমৃদ্ধ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কাপড়ের দোকান সমূহে কেনাকাটার জন্যে দুরদুরান্ত থেকে আগত সহজ-সরল ক্রেতা সাধারণ উচ্চ দামের যাঁতাকলে নিস্পেষিত হচ্ছেন। মিষ্টি মধুর কথার বেড়াজালে ভুলিয়ে-ভালিয়ে প্রকৃত দামের চেয়ে দ্বিগুণ দাম আদায় করে নেয়া হচ্ছে একের পর এক। বৃহত্তর ঈদগাঁওবাসীর মিলনকেন্দ্র ও যাবতীয় কেনা-কাটার জন্যে ঈদগাঁও বাজার পরিচিত লাভ করেছে সে বৃটিশ আমল থেকেই। বিশেষ করে, ঈদের কাপড় কেনাকাটা জন্যে পার্শ্ববর্তী ৭/৮ ইউনিয়নের জনসাধারণ এ বাজারের বড় বড় কাপড়ের দোকান সমূহে এসে থাকেন। গ্রামের ক্রেতা সাধারণের এ চাহিদা পূরন করতে কালক্রমে এখানে গড়ে উঠেছে প্রচুর সংখ্যক কাপড়ের দোকান। এমনকি বাজারের অভ্যন্তরীণ কয়েকটি রাস্তা কাপড়ের গলী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে বড় পরিসরের দোকান সমূহে ঢাকা-চট্টগ্রাম ষ্টাইলে দোতলা করে নয়নাভিরাম চোখ ধাঁধানো ডেকোরেশান করা হয় এবং উপর তলা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করে নিত্যনতুন ডিজাইনেবল কাপড়-চোপড়সহ অপরাপর সামগ্রী দোতলায় রাখা হয়। আগত ক্রেতার দল ঈদের কাপড় পছন্দ করার পরে মুল্য নির্ধারণের প্রথম পর্যায়ে বিক্রেতা গুরু-গম্ভীর ভাব ধারণ করে অনেক্ষণ পর্যন্ত। ক্যালকুলেটর টেপাটেপির পরে কম দামে, এমনকি ক্রয়মূল্যে দেয়ার কথা বলে বহুগুণ বেশী দাম চেয়ে বসে। এমতাবস্থায় ক্রেতাগণ অন্তত চোখ লজ্জার খাতিরে হলেও বিক্রেতার দাবীকৃত দামের অর্ধেক মূল্যায়ণ করতে বাধ্য হয়। ফলে প্রকৃত দামের চেয়ে ২/১ গুণ দামে ঈদ বাজারে কাপড় গছিয়ে দেয়া হয় গ্রাম থেকে আগত সহজ-সরল ক্রেতাদেরকে। বিক্রি কর্মে নিয়োজিত অত্যন্ত চটপটে, হুঁশিয়ার এবং কথাবাজ সেলস্ ম্যানরা সহজেই তাদের কথায় আকৃষ্ট করে ফেলে ক্রেতাদেরকে। ঈদের অন্যতম অনুষঙ্গ-কাপড় কিনতে এসে ক্রেতাগণ এভাবে নিজের অজান্তেই কয়েক গুণ দাম দিয়ে বসেন। তবে একেক দোকানে একেক দাম নিয়ে বিপাকে ক্রেতারা। আবার যারা দোকানীদের এসব ব্যাপারে আগে থেকে ওয়াকিবহাল, তারা বুঝে-শুনেই দরদাম করে কাপড় কিনতে দেখা যাচ্ছে। ফলে তেমন সুবিধে করতে পারেনা ব্যবসায়ীরা। ঈদগাঁওর ঈদ বাজারের একাধিক দোকান ঘুরে দেখে-শুনে-বুঝে দামদর করে কেনাকাটা করছে সুচতুর সচেতন ক্রেতা সাধারন। অপরদিকে বেশ কয়েকজন নারী ক্রেতার সাথে আজকের কক্সবাজারের এ প্রতিনিধির কথা হলে তারা জানান,বিগত বছরের তুলনায় এবার ঈদ বাজারে নানা ডিজাইনেবল কাপড় চোপড়ের দাম কিন্তু চড়া।

পাঠকের মতামত: